ভয়ংকর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসঃ বাংলাদেশে সনাক্ত ২ঃ একজনের মৃত্যু

Total Views : 857
Zoom In Zoom Out Read Later Print

Terrible black fungus kills 2 in Bangladesh

ভয়ংকর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসঃ বাংলাদেশে সনাক্ত ২ঃ একজনের মৃত্যু

Terrible black fungus kills 2 in Bangladesh

ভয়ংকর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসঃ বাংলাদেশে সনাক্ত ২ঃ একজনের মৃত্যু

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন।  শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্যত্র চলে গেছেন। মঙ্গলবার বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভর্তি থাকা রোগীর অবস্থা শঙ্কাজনক নয়।  তাকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মিউকোরমাইকোসিস নতুন কোনো ছত্রাক নয়। এই ছত্রাক পরিবেশেই আছে।  রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।  সম্প্রতি এই ফাঙ্গাসে ঢাকায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি  তিন দিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার মৃত্যু হয়। মে ২৫,২০২১ইং  মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন।  তার নাম পরিচয় জানানো হয়নি।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন।  শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্যত্র চলে গেছেন। মঙ্গলবার বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভর্তি থাকা রোগীর অবস্থা শঙ্কাজনক নয়।  তাকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।  ওষুধের দাম অনেক বেশি।  তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওষুধের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তিন দিন আগে ৬৫ বছর বয়সী একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বারডেমে।  এই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ছিল।  তার কিডনির সমস্যাও ছিল।  তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন।  চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে, তিনি মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত ছিলেন।  মৃত্যুর পর এটা জানা গেছে।

অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে বারডেম হাসপাতালের একটি কেবিনে ৫৫ বছর বয়সী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়া রোগীটির চিকিৎসা চলছে।  রোগীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়।  প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।  সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি যান।  কিন্তু আবার জ্বর দেখা দিলে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বারডেমে নেওয়া হয়।

অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন জানান, এই রোগী চার-পাঁচ বছর ধরে ডায়বেটিসে ভুগছেন।  এরপর তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।  জ্বর ও কাশি কমে না যাওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে যক্ষ্মার ওষুধও দিয়েছেন।  এখন দেখা যাচ্ছে, তিনি মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত।  সম্প্রতি, ভারতে মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।  দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছে। আরও অনেকেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বিশেষজ্ঞরা সাধারন নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

ক্রাইম ডায়রি//স্বাস্থ্য
 

See More

Latest Photos