ফেসবুকে অপপ্রচারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাঃ ৪ জনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

Total Views : 834
Zoom In Zoom Out Read Later Print

Propaganda on Facebook; Case under Digital Security Act: 4 people's property seized

বাংলাদেশে ব্যবহৃত  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন পুরোপুরি বাংলাদেশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তাই যা ইচ্ছে তাই করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা, উগ্র পোষ্ট শেয়ারিং কিংবা লাইক দেয়া, লেখা ইত্যাদি করলে যে কোন সময় যে কোন মুহুর্তে যে কেউ পুলিশের নজরদারীতে পড়তে পারেন।

অনলাইন ডেস্কঃ

বাংলাদেশে ব্যবহৃত  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন পুরোপুরি বাংলাদেশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তাই যা ইচ্ছে তাই করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা, উগ্র পোষ্ট শেয়ারিং কিংবা লাইক দেয়া, লেখা ইত্যাদি করলে যে কোন সময় যে কোন মুহুর্তে যে কেউ পুলিশের নজরদারীতে পড়তে পারেন। বাংলাদেশ পুলিশের সুপ্রশিক্ষিতি সাইবার সিকিউরিটি টিম অনলাইনে সার্বক্ষনিক কড়া মনিটরিংয়ের ধারাবাহিক অংশ হিসেবে ফেসবুকে উগ্রবাদী পোষ্ট শেয়ার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার মাষ্টারপ্ল্যান করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রবাসী চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের  সেই মামলায় সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকারনাইনসহ চারজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

https://www.youtube.com/watch?v=-IMbN7mV47o

সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।  অন্য দুই আসামি হলেন- আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী।  ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে সম্পত্তিগুলো জব্দ করার আদেশ দেন। আদালত আদেশে ঢাকার সেনানিবাস, সিলেটের বিশ্বনাথ, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর চাটখিল; এই চার থানার ওসিকে আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১৩ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপপরিদর্শক আফছার আহমেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১২ সেপ্টেম্বর বিচারক আস শামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। মামলায় সাত আসামির মধ্যে তিনজন জামিনে আছেন। তারা হলেন- আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান। বাকি চার আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে RAB. পরে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

ক্রাইম ডায়রি/// আইন শৃঙ্খলা

See More

Latest Photos