যে কোন মুল্যে প্রশাসনিক কঠোরতা ও কঠোর লকডাউন মানতে বাধ্যকরা এখন সময়ের দাবী। জেলার মফস্বলের বাজারগুলো নিয়ন্ত্রন ও মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সার্বক্ষনিক পিতাসুলভ নজরদারী দাবী জেলাবাসীর।
হুহু করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে বগুড়া জেলার সাধারন মানুষ
শরীফা আক্তার স্বর্না,উত্তরাঞ্চলীয় অফিসঃ
Beware Bogra residents: The common people of the district are being attacked by corona
করোনায় মৃতরা হলেন- বগুড়া সদরের জিয়াউল আলম (৪০), আজিজুল হক (৬৮), হাসিনা খাতুন (৬২) এবং শাজাহানপুরের রফিকুল ইসলাম (৫০)।
বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, রোববার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুটি হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৮৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৫ জন, জিন এক্সপার্ট মেশিনে নয় জনের নমুনায় চারজন, এন্টিজেন পরীক্ষায় ১৮৮ জনের নমুনায় ৪২ জন, ঢাকায় পাঠানো ৩৩৭ জনের নমুনায় ৯২ জনের এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৪ জনের নমুনায় নয়জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ২৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।
আক্রান্তদের মধ্যে সদরে সর্বোচ্চ ১৪৫ জন, সারিয়াকান্দিতে ২৯ জন, শেরপুরে ১৪ জন, শাজাহানপুরে ১২ জন, দুপচাঁচিয়ায় নয়জন, সোনাতলায় আটজন, গাবতলী ও ধুনটে ছয়জন করে, কাহালুতে চারজন, আদমদীঘি ও নন্দীগ্রামে তিনজন করে। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন।
সূত্রটি আরও জানায়, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৯৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৬১৭ জন। মারা গেছেন ৫৩৮ জন। বর্তমানে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক হাজার ৯৩৯ জন। বগুড়া বাসীর উদ্দেশ্যে জেলার সুশীল সমাজের আবেদন যে কোন মূল্যে লকডাউনকালীন ঘরে থাকলে জেলা হতে করোনা নির্মূল করা সম্ভব। তাই সবাই ঘরে থাকুন। বিশেষ কারনে বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলূন ও মাস্ক ব্যবহার করুন।
এছাড়া লকডাউনকালীন সময়ে জেলার সকল জায়গায় প্রশাসনিক কঠোরতার দাবী জানিয়েছেন জেলার সাধারন নাগরিক বৃন্দ।
ক্রাইম ডায়রি//জেলা